
আমার বাবা একজন নিম্নমধ্যবিত্ত,ছোটবেলা থেকেই একপ্রকার কষ্টের ভিতরে বড় হয়েছি আমি এসএসসি এবং ইন্টারমিডিয়েট পরিক্ষায় জিপিএ 5 পেয়েছিলাম,এরপর আত্বীয় স্বজনদের সহযোগিতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কিছুদিন পরেই আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক ছেলে আমাকে একটি টিউশনির ব্যাবস্থা করে দেই,সেই থেকে আস্তে আস্তে আমাদের ভিতরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে.ওর নাম রাজু,সর্ব দিক দিয়ে একজন আদর্শ ছেলে বলতে পারেন.
আমাদের সম্পর্ক বেশ এগিয়ে যাই আমরা কেউ কাওকে ছেড়ে কখনো থাকবো সেটা কল্পনা করিনি. আমার বাবার বেশ বয়স হয়েছে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে,আমার ছোট আরো দুইটা ভাইবোন আছে. হঠাৎ একদিন বাড়ি থেকে আমাকে ফোন করে যশোরে আসতে বললো,আমি ঢাকা থেকে চলে গেলাম.আমি বাড়ি যাবার পরে শুনি আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে,আমার মামারা ছেলে দেখেছেন আমার জন্য,সেই মুহুর্তে আমি কি করবো ভেবেচিন্তে কোন কুলকিনারা পাচ্ছিলাম না,আমার মা এবং মামা বললো এই বিয়ে আমাকে করতেই হবে,আমি লেখাপড়া শেষ করলে আমার সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ,আরো অনেক কিছুই বলে আমি বাসার সবাইকে অনেক বুঝালাম কিন্তু কোন কাজ হলো না. বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়ি থেকে নাকি পড়াশোনা করতে বাধা দিবেনা আর শ্বশুরবাড়ির লোকজন নাকি অনেক ধনী,আমাদের পরবর্তীতে কোন দরকার হলে সাহায্য করতে পারবে,মামা বললেন আমার ছোট ভাইবোনের কথা বিবেচনা করে হলেও এই বিয়েতে আমার রাজি হওয়া উচিত. ছেলের ছবি আমাকে দেখাতে চাইলো কিন্তু আমি দেখলাম না,বিয়ে অস্বীকার করার যেহেতু কোন উপায় নেই সেহেতু ছবি দেখে আর কি হবে.
No comments:
Post a Comment