কনডম হলো এক ধরণের জন্মবিরতিকরণ উপাদান। এর জনপ্রিয়তার কারন যেকোনো সময় এটা ব্যবহার করা যায় এবং এটা সহজলভ্য। কনডমের সবচেয়ে বড় সুবিধা এই যে এটা যৌনবাহিত যেকোনো রোগ থেকে সঙ্গম সময়ে নিরাপত্তা দেয়। এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া, ক্লামাইডিয়া, কন্ডাইলোমা সহ যে কোন যৌন রোগ কনডোম ব্যবহারের মাধ্যমে এড়ানো সম্ভব। অনেক পুরুষ আছেন যাদের মিলনের পূর্বেই বীর্যপাত ঘটে (Premature Ejaculation) তারা অনেক সময় Condom ব্যবহারে কিছুটা সুবিধা পেতে পারেন, এছাড়া কিছু মহিলা আছেন যাদের স্বামীর শুক্রানুর প্রতি এলার্জি থাকে, মাস ছয়েক কনডোম ব্যবহার করে এই এলার্জি নিয়ন্ত্রন করা যায়, লিঙ্গ প্রবেশের প্রাথমিক পর্যায়ে খসখসে ভাব বা ব্যথা হলেও Condom ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। কনডম ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ভিতরের বাতাস বের করে নিতে হবে অন্যথায় তা ফেটে গিয়ে শুক্রানু যোনিপথে প্রবেশ করতে পারে।
কনডম ব্যবহার করার নিয়ম
মিলন শেষে উত্থিত অবস্থায় লিঙ্গ বের করে নিয়ে আসতে হবে, না হলে অনেক সময় শুক্রানু ছড়িয়ে পরতে পারে। Condom ব্যবহার শতকরা ১০০ ভাগ জন্মনিয়ন্ত্রনের নিরাপত্তা দেয়না। এর সাফল্যের হার ৯০% এর কাছাকাছি। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার না করলেই ব্যর্থতা দেখা দেয় তাই অবশ্যই ব্যবহারের পূর্বে Condom এর শীর্ষের বাতাস বের করে নিতে হবে। অনেক দম্পত্তির কনডমে এলার্জি থাকতে পারে তাদের কনডোম ব্যবহার না করাই ভালো। দীর্ঘদিন কনডোম ব্যবহার করলে অনেক সময় দম্পতিরা একধরনের মানসিক অতৃপ্তি এবং অশান্তিতে ভোগেন। কনডোম ব্যবহারের সাথে সাথে প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বামী-স্ত্রী অনেক আরাম দায়ক যৌন জীবন উপভোগ করতে পারেন।
কীভাবে কনডম ব্যবহার করবেন :
কনডম ব্যবহার বেশ সহজ, তাছাড়া কনডমের প্যাকেটেই ব্যবহারবিধি লেখা থাকে। তাও এ ব্যাপারে কিছু ব্যপার জেনে রাখা ভালো। তা হলোঃ
১. Condom ব্যবহারের আগে মেয়াদোত্তির্ণের তারিখ দেখে নিন। মেয়াদোত্তির্ণের তারিখ শেষ হওয়া কনডোম ব্যবহার করা উচিত নয়।
২. ভ্যাজায়নার সাথে পেনিসের কোন রকম স্পর্শের আগেই কনডম পরে নেওয়া উচিত। কেননা স্পার্ম (বীর্য) আউট ছাড়াও প্রি-কাম-ফ্লুইড (Pre-Cum-Fluid) বলে তরল পদার্থ পেনিস( Penis )থেকে বের হয় যা ছেলেরা টের পায় না খুব একটা, কিন্তু তাতে ঠিকই স্পার্ম থাকে। তাই পুল আউট ব্যাবস্থা, অর্থাৎ স্পার্ম আউটের আগে পেনিস বের করে ফেলা কার্যকর নয় বাস্তবে। অবশ্যই কনডোম ব্যবহার করুন, প্রেগনেন্সি ও সকল ঝামেলা এড়াতে চান যদি।
৩. প্রত্যেক সঙ্গমের জন্য একটি কনডম ব্যাবহার করুন। কখনোও একটি Condom একাধিকবার ব্যবহার করবেন না।
৪. প্যাকেট থেকে Condom বের করার সময় সাবধান। ছিড়ে ফেললে বা ভেঙ্গে গেলে আরেকটা কনডোম ব্যবহার করুন। ভেঙ্গে যাওয়া কনডোম কোন দিক থেকেই সেক্সকে নিরাপদ করে না।
৫. প্রয়োজনে কনডমের ভেতর এক দুই ফোটা লুব্রিক্যান্ট দিতে পারেন। এতে কনডোম পরতে যেমন সুবিধা হয় তেমনি তা ছেলেদের জন্য বেশি মজারও হয়।
৬. Penis পুরোপুরি দাড়ানোর পরই Condom পরুন।
৭. সামনের দিকে আধা ইঞ্চির মত জায়গা রাখুন কনডমে স্পার্ম ধারনের জন্য।
৮. সামনের দিকে বাতাস থাকলে তা হাত দিয়ে চেপে ভেতরে নিয়ে যান এবং পেনিসের উপর কনডম যতটুকু স্ট্রেচ হয় ততটুকু করুন। কোন বাতাসের বুদবুদ থাকলে তা সমান করুন, এগুলো কনডোম ভেঙ্গে ফেলতে পারে। Condom পরার পর চাইলে লুব্রিক্যান্ট দিতে পারেন উপরে সেক্স শুরুর সময়।
৯. পেনিস নরম হওয়ার আগেই ভ্যাজাইনা থেকে পেনিসটি কনডম সহ বের করে ফেলুন।
১০. Condom খোলার সময় একজন কনডোম ধরে রাখুন আরেকজন খুলুন, এতে স্পার্ম ছড়িয়ে পরবে না।
১১. কনডম কখনো টয়লেটে বা কমোডে ফ্লাশ করবেন না। বাচ্চাদের নাগালের বাইরে কোন ট্র্যাশ বিনে ফেলুন। Condom একবার খোলার পর পেনিস ভাল করে সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে নিন, আরেকবার ভ্যাজায়নাতে ঢুকানোর আগেই। তবে যেখানে সেখানে Condom ফেলবেন না।

No comments:
Post a Comment