Friday

ইন্তেকাল করলেন তাহসান, তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত বাংলাদেশ


2016-11-22_091552

এই তাহসান singer তাহসান নয় ইনি হচ্ছে বাংলাদেশি শ্রমিক তাহসান। যিনি বিদেশে কাজ করতে গিয়ে দূ্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন আর আমরা সবাই তার জন্য শোকাহত।
দেশে কর্মসংস্থান না হওয়ায় যাঁরা সোনালি ভবিষ্যতের আশায় বিদেশে পাড়ি জমান, তাঁরা নিশ্চয়ই কেউ লাশ হয়ে ফিরতে চান না। অথচ গত ছয় বছরে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে ১৪ হাজার লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন, যাঁদের ৯৪ শতাংশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার। এর কারণ হিসেবে প্রতিকূল পরিবেশ, অমানুষিক পরিশ্রম, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাসের কথা বলা হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোয় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার একজন সাংসদ

প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন। জবাবে মন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি তাঁর সহানুভূতির চেয়ে উপহাসই প্রকাশিত হয়েছে বেশি। তিনি বলতে চেয়েছেন, দেশের ভেতরে অস্বাভাবিক মৃত্যুর হার যেহেতু এর চেয়ে বেশি, সেহেতু এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু এটি কোনোভাবেই যুক্তির কথা হতে পারে না। দেশে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অন্যতম কারণ রাজনৈতিক সহিংসতা; সেটি তো বিদেশে থাকার কথা নয়।
মন্ত্রী মহোদয় যে কথাটি উল্লেখ করেননি তা হলো, প্রবাসে অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার এসব শ্রমিকের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। একজন পরিণত বয়সের মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সম্ভাবনাময় তরুণের মৃত্যুর বিষয়টির পরিসংখ্যানের মারপ্যাঁচে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা অনৈতিক বলেই মনে করিমন্ত্রী হিসাব করে দেখিয়েছেন, প্রবাসীদের দেখাশোনার জন্য প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খুবই স্বল্পসংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মী নিয়োজিত আছেন। তাঁদের পক্ষে প্রায় এক কোটি প্রবাসী

শ্রমিকের দেখাশোনা করা সম্ভব নয়। তাহলে স্বাভাবিকই প্রশ্ন আসে, তাঁর মন্ত্রণালয়ের ডজন ডজন কর্মকর্তা কী করেন? অন্যান্য প্রয়োজনীয় বা কম প্রয়োজনীয় শাখায় কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে কেন অতীব প্রয়োজনীয় এই শাখায় কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয় না?
 
মানুষ মন্ত্রীর মুখে অস্বাভাবিক মৃত্যুর হারের পার্থক্য বা মন্ত্রণালয়ে কর্মীস্বল্পতার পরিসংখ্যান শুনতে চায় না। তারা চায়, প্রবাসে কর্মরত প্রত্যেক কর্মীর জীবনের নিরাপত্তা এবং অস্বাভাবিক মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা হোক।
পোস্টটি কেমন লাগল অবশ্যই ভোট করবেন । আপনাদের ভোট আমাদের সামনের দিকে নিয়ে যাবে ।

No comments:

Post a Comment