
গোয়িং কমান্ডো, বা পুরুষদের ফ্রি-বলিং ও মহিলাদের ফ্রি-বাফিং হলো আন্ডারওয়্যার বা অন্তর্বাস পরিধান না করার একটি চর্চা। বিভিন্ন লোক বিভিন্ন কারনে আন্ডারওয়্যার পরিধান পছন্দ করেন না; এরমধ্যে স্বাচ্ছন্দবোধ, বাইরের পোশাক বিশেষভাবে উপস্থাপনের চেষ্ঠা, পেন্টি লাইন তৈরি রোধ অথবা এটি পরিধানে তারা কোন প্রকার কারণ খুঁজে পান না বা প্রয়োজনবোধ করেন না। কিছু লোক যৌনতায় উত্তেজিত হওয়ার জন্য ও কিছু লোক যৌন আবেদনময়ী হতে আন্ডারওয়্যার পরিধান করা থেকে বিরত থাকেন। আন্ডারওয়্যার পরিধান না করা বৈশ্বয়িকভাবে নির্লজ্জ আচরন হিসেবে বিবেচনা করা হয় যদি এর ফলে ক্রচ এলাকা জনসম্মুখে প্রকাশ পায়; কিন্তু এটি যৌনতায় এবং কিছু পর্নোগ্রাফি চলচ্চিত্রের অংশ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।
পুরুষের আন্ডারওয়্যার
কিছু কিছু বিশেষ ধরণের পোশাক যেমন, সাইক্লিং শর্টস্ ও কিল্ট্স শরীরের সাথে লেগে থাকে বা ঐতিহ্যগতভাবেই আন্ডারওয়্যার ব্যতীত পরিধান করা যায়। এছাড়াও সাঁতারুদের পোশাক, খেলাধুলার পোশাক ও রাতের পোশাকও আন্ডারওয়্যার ছাড়াই পরিধান করা যায় যা ঐতিহ্যগতভাবেই তৈরি।
চিলিতে ১৯০০ সালের পর থেকেই আন্ডারওয়্যার পরিধান না করাকে অ্যান্ডার অ্য লো গ্রিংগো (গ্রিংগো সাজে সাজা) নামে অবহিত করা হয়ে আসছে
আন্ডারওয়্যার পরলে কি কোন ধরনের রোগ হতে পারে?
আন্ডারওয়্যারের প্রারম্ভিক ব্যবহার
গো কমান্ডো শব্দসমষ্টির উৎস অনিশ্চিত; কেউ কেউ বলে থাকেন এটা সম্ভবত খোলাখুলিভাবে বাইরে বের হওয়া বা একশনের জন্য প্রস্তুত এমন অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। স্লেট সাময়িকীর ড্যানিয়েল এগবার মন্তব্য করেন, এটি আনুমানিক ১৯৭৪ সাল থেকে আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ক্যাম্পাসগুলোতে বেশি ব্যবহার হয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, সম্ভবত তখনকার ভিয়েতনাম যুদ্ধের সৈনিকদের সাথে এটি সম্পর্কিত যারা বাতাস চলাচল বৃদ্ধি ও ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য আন্ডারওয়্যার পরিধান না করে বাইরে বের হতো।
গো কমান্ডো শব্দসমষ্টির উৎস অনিশ্চিত; কেউ কেউ বলে থাকেন এটা সম্ভবত খোলাখুলিভাবে বাইরে বের হওয়া বা একশনের জন্য প্রস্তুত এমন অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। স্লেট সাময়িকীর ড্যানিয়েল এগবার মন্তব্য করেন, এটি আনুমানিক ১৯৭৪ সাল থেকে আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ক্যাম্পাসগুলোতে বেশি ব্যবহার হয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, সম্ভবত তখনকার ভিয়েতনাম যুদ্ধের সৈনিকদের সাথে এটি সম্পর্কিত যারা বাতাস চলাচল বৃদ্ধি ও ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য আন্ডারওয়্যার পরিধান না করে বাইরে বের হতো।
১৯৮৫ সালের ২২শে জানুয়ারি সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে এই টার্মটি ব্যপকহারে ছড়িয়ে পরে যখন শিকাগো ট্রিবিউনে জিম স্পেনসার তার লেখায় গোয়িং কমান্ডো শব্দসমষ্টি ব্যবহার করেন
আন্ডারওয়্যার- underware
প্রশ্নঃ ছেলেদের আন্ডারওয়্যারের কারণে কি কোনো ধরনের রোগ হতে পারে?
এমন কোনো পুরুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর যে বর্তমান যুগে আন্ডারওয়্যার ব্যবহার করেন না । তবে বেশিরভাগ পুরুষই জানেন না, এই আন্ডারওয়্যারও হতে পারে ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণ। সম্প্রতি বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন।
লন্ডনের হুইটিংটন হসপিটাল এবং দ্য হার্লে স্ট্রিট ডার্মাটোলজি ক্লিনিকের ডার্মাটোলজিস্ট কনসালটেন্ট অ্যাডাম ফ্রেইডম্যান বলেছেন, কুঁচকি থেকে শুরু করে শুক্রাশয়ের অ্যালার্জি এবং ব্যাথার কারণ হতে পারে আন্ডারওয়্যার। কুঁচকির অ্যালার্জিকে সাধারণত ‘জক ইচ’ নামে পরিচিত।‘জক ইচ’ সাধারণত ফাংগাল ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে। গ্রীষ্মেই এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়। কারণ তখন একদিকে ঘাম হয়, অপরদিকে কাজের সুবাদে দীর্ঘক্ষণ পুরুষকে প্যান্ট পরে থাকতে হয়।
অ্যাডাম বলেন, এধরণের সমস্যা থেকে বাঁচতে আন্ডারওয়্যারের মতো আঁটসাঁট পোশাক পরিহার করে এমন প্যান্ট এবং আন্ডার-প্যান্ট ব্যবহার করা উচিত, যা ঘাম শোষন করে। এ তালিকায় অবশ্যই সিল্ক, নাইলন এবং লাইক্রা জাতীয় কাপড় পরিহার করা উচিত সবার।
গিলফোর্ডের রয়্যাল সার্যে কাউন্টি হাসপাতালের ক্রিস্টোফার ইডেন বলেন, কম শোষক কাপড়, যেমন- সিল্ক, নাইলন এবং লাইক্রা সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব আঁটসাঁট কাপড় অন্ডকোষ শরীরের কাছে ধরে রাখে। অন্ডকোষ সাধারণত গরম এবং ঘর্মাক্ত থাকে। এসব কারণে ফাংগাস জন্মাতে পারে।
তিনি বলেন, শরীরের এই অংশে যতোটা সম্ভব বাতাসের প্রবাহ থাকা জরুরি। কিন্তু আন্ডারওয়্যার এই প্রবাহে বাধা দেয়। ফলে সমস্যার সৃষ্টি হয়।তিনি বলেন, অনেক সময়ই পুরুষ অন্ডকোষের ব্যাথায় ভোগে। কিন্তু সে জানে না, কেন এই সমস্যা হচ্ছে। সাধারণত ২০ থেকে ৪০ বছরের মাঝের পুরুষদের এই সমস্যা বেশি হয়।
বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের উইরোলজিস্ট যাকি আলমাল্লাহ বলেন, কিছু পুরুষ নিয়মিত এই সমস্যার মুখোমুখি হয়। উদাহরণস্বরূপ, তারা যখন বসে থাকে বা গাড়ি চালায়। আন্ডারওয়্যার এই সমস্যার অন্যতম কারণ। পুরুষরা যদি আন্ডারওয়্যার পরিহার করে বা ঢিলেঢালা আন্ডার-প্যান্ট ব্যবহার করে, তাহলে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশেই রেহাই পেতে পারে।
লন্ডনের হুইটিংটন হসপিটাল এবং দ্য হার্লে স্ট্রিট ডার্মাটোলজি ক্লিনিকের ডার্মাটোলজিস্ট কনসালটেন্ট অ্যাডাম ফ্রেইডম্যান বলেছেন, কুঁচকি থেকে শুরু করে শুক্রাশয়ের অ্যালার্জি এবং ব্যাথার কারণ হতে পারে আন্ডারওয়্যার। কুঁচকির অ্যালার্জিকে সাধারণত ‘জক ইচ’ নামে পরিচিত।‘জক ইচ’ সাধারণত ফাংগাল ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে। গ্রীষ্মেই এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়। কারণ তখন একদিকে ঘাম হয়, অপরদিকে কাজের সুবাদে দীর্ঘক্ষণ পুরুষকে প্যান্ট পরে থাকতে হয়।
অ্যাডাম বলেন, এধরণের সমস্যা থেকে বাঁচতে আন্ডারওয়্যারের মতো আঁটসাঁট পোশাক পরিহার করে এমন প্যান্ট এবং আন্ডার-প্যান্ট ব্যবহার করা উচিত, যা ঘাম শোষন করে। এ তালিকায় অবশ্যই সিল্ক, নাইলন এবং লাইক্রা জাতীয় কাপড় পরিহার করা উচিত সবার।
গিলফোর্ডের রয়্যাল সার্যে কাউন্টি হাসপাতালের ক্রিস্টোফার ইডেন বলেন, কম শোষক কাপড়, যেমন- সিল্ক, নাইলন এবং লাইক্রা সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব আঁটসাঁট কাপড় অন্ডকোষ শরীরের কাছে ধরে রাখে। অন্ডকোষ সাধারণত গরম এবং ঘর্মাক্ত থাকে। এসব কারণে ফাংগাস জন্মাতে পারে।
তিনি বলেন, শরীরের এই অংশে যতোটা সম্ভব বাতাসের প্রবাহ থাকা জরুরি। কিন্তু আন্ডারওয়্যার এই প্রবাহে বাধা দেয়। ফলে সমস্যার সৃষ্টি হয়।তিনি বলেন, অনেক সময়ই পুরুষ অন্ডকোষের ব্যাথায় ভোগে। কিন্তু সে জানে না, কেন এই সমস্যা হচ্ছে। সাধারণত ২০ থেকে ৪০ বছরের মাঝের পুরুষদের এই সমস্যা বেশি হয়।
বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের উইরোলজিস্ট যাকি আলমাল্লাহ বলেন, কিছু পুরুষ নিয়মিত এই সমস্যার মুখোমুখি হয়। উদাহরণস্বরূপ, তারা যখন বসে থাকে বা গাড়ি চালায়। আন্ডারওয়্যার এই সমস্যার অন্যতম কারণ। পুরুষরা যদি আন্ডারওয়্যার পরিহার করে বা ঢিলেঢালা আন্ডার-প্যান্ট ব্যবহার করে, তাহলে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশেই রেহাই পেতে পারে।
No comments:
Post a Comment