Sunday

আমার স্বামী শারীরিক মিলনে অক্ষম , আমার কী করা উচিত?




আমরা সব সময় বলে থাকি যে, জীবন থাকলে সমস্যা থাকবে,আর সমস্যা থাকলে উত্তরনের উপায় ও থাকবে, কিছু কিছু সমস্যা প্রকট অবার কিছু সমস্যা সামান্য। তবে সব সমস্যাই সমস্যা, আর এই সব সমস্যা মোকাবেলা করে জীবন কে এগিইয়ে নিতে হবে আমি সোমা সবাইকে এটাই বলে থাকি সব প্রশ্নের উত্তরে। প্রতিদিন আমরা অগণিত মেইল ও মেসেজ পেয়ে থাকি পাঠকের নির্বাচিত কিছু প্রশ্নের উত্তর আমরা দেবার চেষ্টা করি। ঠিক তেমনি আজকেও আমাদের একজন অসহায় বোনের চিঠি…
ছোট করে প্রকাশ করে সেটার উত্তর দিচ্ছি..……
আমার স্বামী সাথে আচরণের ক্ষেত্রে সমস্যায় ভুগছি। আমি জানি সে আমাকে আহ্বান করলে, মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকলেও, তার কক্ষে যাওয়া আমার জন্য আবশ্যক। আরও জানি যে মিথ্যা বলা ন্যক্কারজনক অপরাধ। তবে আমার স্বামীকে খুশি করা আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। এমতাবস্থায়, আমি পরিতৃপ্ত হয়েছি বলে ভান ধরা কী জায়েয হবে?
প্রশ্ন– আমার স্বামীর সাথে আচরণের ক্ষেত্রে সমস্যায় ভুগছি। আমি জানি সে আমাকে আহ্বান করলে, মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকলেও, তার কক্ষে যাওয়া আমার জন্য আবশ্যক। আরও জানি যে মিথ্যা বলা ন্যক্কারজনক অপরাধ। তবে আমার স্বামীকে খুশি করা আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। এমতাবস্থায়, আমি পরিতৃপ্ত হয়েছি বলে ভান ধরা কী জায়েয হবে? আসলে আমি এই সমস্যায় ভুগছি। আমি মিথ্যাও বলতে চাই না, আবার সে আমাকে পরিতৃপ্ত করতে পারেনি এ-কথা বলে তাকে বিব্রতও করতে চাই না। এভাবে পরিতৃপ্তির ভান ধরা থেকে বিরতও হতে পারছি না, আবার সে বিব্রত বোধ করবে ভয়ে তাকে খোলাখুলি বলতেও পারছি না। আশা করি আপনি আমাকে এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেবেন। আর আপনার দুয়ায় আমাকে ভুলবেন না।

বিয়ের পর স্বামী বুঝে ফেললে তখন কী হবে? পড়ুন কি

উত্তর- আল্লাহর কাছে দুয়া করি, তিনি আপনার ধৈর্য, আপনার রবের নির্দেশ মোতাবেক স্বামীর ইচ্ছা পূরণ ইত্যাদির জন্য তিনি আপনাকে উত্তম জাযা দান করুন। আপনি যা বললেন তার এলাজ হল, স্বামীকে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বলে দেয়া। এভাবে বললে তাকে বিব্রত করা হবে না, তাকে দুর্বল বলে অভিযুক্তও করা হবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এধরনের সমস্যার মূল কারণ, সমস্যা যে আছে সে বিষয়ে স্বামীর অনুভূতিশূন্যতা। স্বামীর অপারগতা বা যৌনদুর্বলতা এ ক্ষেত্রে মূল কারণ নয়। কেননা সে হয়ত সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে পড়ে এতৎসংন্ত্রান্ত কিছু বিষয় আমলে না এনেই। অথচ সেগুলো প্রয়োগ করলে স্ত্রীর তৃপ্তিঘটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ও মিলনবিষয়ক কিছু সহায়ক বইয়ের আশ্রয় নিতে; যেমন মাহমুদ মেহদি ইস্তান্বুলির তুহফাতুল আরুস ( নববধূর উপঢৌকন) বইটি।

ছোট চাচী আমার সমবয়সী, নিজেকে সামলাতে পারছি নাহ…

সার কথা হল, এ-বিষয়ে স্বামীর সাথে সরাসরি কথা বলতে ও তাকে এ বিষয়ক বই পুস্তক পড়তে পরামর্শ দেয়ায় কোনো মানা নেই। যার এলাজ হয়ত একেবারেই সহজ সে বিষয়ে কষ্টযাতনা সহ্য করে যাওয়ার চাইতে সরাসরি বলে ফেলাই ভালো। অবশ্য নারীকেও এ-ক্ষেত্রে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে। এ-ক্ষেত্রে নারীর যা যা করা উচিত করতে হবে। স্বামীর জন্য সাজগোজ করতে হবে। স্বামীকে আদর দিতে হবে। মিলনে তাকে উৎসাহী করে তুলতে হবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন মুসলমানদের অবস্থা ভালো করে দেন। আল্লাহই উত্তম জ্ঞানী।

No comments:

Post a Comment