
প্রশ্নঃ কোনো মেয়ে বিয়ের আগে ২বার সেক্স করলে বিয়ের পর তার স্বামী কি বুঝতে পারে?
বিয়ের আগেই স্তন ঝুলে গিয়েছে, ঠিক করার উপায় কি?
উত্তরঃ আপনার এ প্রশ্নের জবাব আমরা সঠিক ভাবে প্রদান করতে পারতেছি না। কেননা এটা আপনার যোনিদ্বারের উপর নির্ভর করবে। দুই বার সঙ্গম করার ফলে আপনার যোনিপথ যদি সরু হয়ে যায় তাহলে আপনার স্বামী বুঝতে বাকী থাকবে না যে আপনি বিবাহের পূর্বে সঙ্গম করেছেন। কেননা কম বেশি সবাই জানে যে প্রথম সঙ্গমে স্বামী–স্ত্রীর উভয়রই কষ্ট হয়। এবং প্রত্যেক ছেলে মেয়ে জানে যে প্রথম সঙ্গমে সতিচ্ছেদ ছেড়ার কারণে সামান্য রক্তপাতও হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে পূর্বে সঙ্গম না করার কারণেও প্রথম মিলনে রক্তপাত নাও হতে পারে। কেননা খেলাধুলার কারণেও সতীচ্ছেদ ছিড়ে যেতে পারে। এটা আপনার স্বামী জানে তাহলে প্রথমে সন্দেহ নাও করতে পারে কিন্তু এটা যদি সে না জানে তাহলে আপনি প্রথমেই সন্দের তালিকায় চলে যাবেন। তারপর হচ্ছে কয়েকবার সঙ্গম করার ফলে যোনি পথ ফ্রি হয়ে যাওয়া। প্রথম কয়েকবার মিলনে পুরুষাঙ্গ যোনিপথে চলাচল করতে কিছুটা বেগ পেতে হয় কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর থাকে। তখন যোনি পথ ফ্রি হয়ে যায় যার কারণে যোনিপথে পুরুষাঙ্গ অনায়াসে চলাচল করতে পারে। এখন এটা যদি আপনার ক্ষেত্রে হয়ে যায় তাহলে আপনার স্বামীকে বুঝতে বাকী থাকবে না কিন্তু এটা যদি আপনার ক্ষেত্রে না হয় তা হলে হয়ত বেঁচেই গেলেন। আর যদি সে বুঝতে পারে তাহলে সংসারে অশান্তি নেমে আসতে পারে। কেননা অবৈধ সম্পর্কের ফলাফল ভালো হয় না সেটা বাস্তবে প্রমাণিত। আপনার যদি ভাগ্য ভালো হয় তাহলে আপনি দুনিয়া যাত্রা থেকে হয়ত রেহায় পেতে পারেন। কিন্তু পরকালে আমানতের খেয়ানত করার জন্য আল্লাহর কাঠগড়ায় আপনাকে জবাব দিহি করতে হবে। সময় তো ফুরিয়ে যায়নি? আল্লাহর কাছে ফানাহ চান নিশ্চয় আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবেন।
সেক্স মধ্যরাতের পর করবেন না কেন জেনে নিন
আসলে আপনারা ইসলাম আবির্ভারবের পূর্বে পুরুষদের কাছে যেমন ভোগের বস্তু ছিলেন, বর্তমানে ইসলামের বিধি বিধান না মানার কারণে পুরুষদের কাছে ভোগের বস্তুই রয়ে গেছেন। আগেকার পুরুষেরা আপনাদের কে জোর জবরদস্তি করে ভোগ করতো আর এখন বেশ্যা বাদী (নারীবাদী)দের কল্যাণে স্বেচ্ছায়ই ভোগের শিকার হচ্ছেন। আপনি যদি ইসলামের পর্দা বিধান মেনে চলতেন তাহলে আজ আপনাকে এরকম চিন্তিত হতে হতো না। আপনাকে হারাতে হতে হতো না আপনার সতীত্ব। একজন নারীর মহামূল্যবান হচ্ছে তাঁর সতীত্ব। যা একবার হারিয়ে ফেললে সারা পৃথিবীর বিনিময়ে আপনি তা ফিরে পাবেন না।
মেয়েদের ভেবে দেখার সময় হয়েছে। তারা কি বেশ্যাবাদীদের কথা শুনে সমঅধিকারের নামে নিজেদের কুমারীত্ব বিলিন করবে নাকি ইসলামের বিধান পালন করে ভোগ্যবাদী পুরুষেদের হাত থেকে নিজেদের ইজ্জত রক্ষা করবে। বোন আপনি হয়ত জানেন না যে, বর্তমান পুরুষেরাও প্রশ্ন করে তারা কি করে বুঝবে বিয়ের পূর্বে তাঁর স্ত্রী পরপুরুষদের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে কি না। আসলে তাদের মনে এরকম প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। কেননা সে কিন্তু আপনাদের মতো মেয়েদেরকে বোকা পেয়ে ভোগ করে এসেছে। এখন সাধু সেজে কুমারী মেয়ে তালাশ করে।
এই সমস্ত পুরুষদের কথা কি বলব? এদের কাছে না আছে বোনদের সম্মান আর না আছে মায়েদের সম্মান এমন কি না আছে স্ত্রীদের সম্মান। যদি সম্মান থাকতো তাহলে মেয়েদের কে ভোগ করার পূর্বে ভাবতো এখন আমি যাকে ভোগ করতে যাচ্ছি সেও তো অন্য কারোর বোন—মা অথবা স্ত্রী। কেউ যদি আমার বোন—মা অথবা স্ত্রীকে ছল চাতুরী করে ভোগ করে তা হলে আমার কাছে কেমন লাগবে? কোনো সভ্য পুরুষের এটা সহ্য করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু বোধ শক্তির অভাবে এই সমস্ত লম্পট পুরুষদের সহ্য করার ক্ষমতা আছে। এর চেয়ে বেশী কথা বলতে গেলেও সমস্যা। সুর উঠবে আমরা ধর্মান্ধ, আমরা মৌলবাদী, আমরা নারী অগ্রযাত্রা বিনষ্ট কারী। হ্যাঁ। আমরা ধর্মান্ধ। আমরা ধর্মান্ধ বলেই আজ পর্যন্ত আমার দ্বারা কোনো মেয়ে ভোগ্যের শিকার হয় নাই। আপনারা রেডি হন, আল্লাহর রহমতে আপনাদের মুখোশ আসতে আসতে খুলে দেওয়া হবে । তবে আপাতত বন্ধ রেখেছি।